S5 miniর বিস্তারিত কিছু কথা
Design & Build Quality: Galaxy S5র থেকে আকারে বেশ ছোট হলেও S5 mini কে অনেকটাই Samsung Galaxy S5র মত দেখায় ।
প্ল্যাস্টিক ব্যাককভার, মেটালিক ট্রিম ইত্যাদির কারনে ২টি সেটের মধ্যে পার্থক্য বের করা একটু কঠিন ।
তাদের কে আলাদা করে চিনার প্রধান উপায় হল S5র পানিরোধক আবরণ ।
Display: S5 mini তে আছে super AMOLED আর ৪.৫” মাপের ডিসপ্লে । যেখানে S5এর ডিসপ্লে ছিল ৫.১” ।
এটি ফুল এইচডি মানে ১২৮০*৭২০ পিক্সেল । পিক্সেল ঘনত্ব 332ppi । S5 আর S5 mini কে পাশাপাশি রাখলে দেখা যাবে S5র ডিসপ্লে
কিছুটা বেশি উজ্জ্বল ।
Special
Features: মিনি ভার্সন সেট হিসেবে S5 miniর সব থেকে বড় সুবিধা হল এতে S5র
সব স্পেশাল ফিচার অ্যাড করা হয়েছে । যেমনঃ ফিঙ্গার স্ক্যানার, হার্ট রেট
মনিটর, ইনফ্রারেড সেন্সর,
পানি এবং ধূলারোধক । আর এই কারনে S5 mini কেও একটি ফ্লাগশিপ ডিভাইস বলা যায় ।
Software:
Galaxy S5র TouchWiz ইন্টারফেস S5 mini তেও দেয়া হয়েছে । সুতরাং যারা
TouchWiz পছন্দ করে তাদের আর এটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই ।
তবে দুঃখের
বিষয় হল এতে air gesture, air browse, download bosster দেয়া নেই । যা
আসলেই হতাশাজনক । তবে এইগুলো ছাড়া বাকি প্রায় সব সফটওয়্যার S5 mini তে আছে ।
Performance: একটি আন্ড্রোয়েড সেটের সব থেকে বড় দিক হল এর পারফরমেন্স । স্বাভাবিক কারনেই S5 থেকে S5 mini একটু কম শক্তিশালী ।
তারমানে এই না যে খুব স্লো । অনেকগুলো অ্যাপ একসাথে চালু রাখলেও এটি লেগ
করে না এমনকি গেম মিনিমাইজ করে আবার চালু করলেও আটকিয়ে যায় না ।
Camera:
অন্য মিনি ভার্সন সেটগুলোর সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে S5 miniর ক্যামেরা
অনেক ভালো । এর পিছন দিকে রয়েছে 8MP ক্যামেরা । ভিডিও কলিং ও সেলফি তুলার
জন্য আছে 2.1 MP ফ্রন্ট ক্যামেরা । উভয়
ক্যামেরা দিয়ে 1080p ছবি তুলা যায় । আরও আছে HDP, panorama, face detection ।
Battery: এতে আছে 2100mAhর উচ্চ ক্ষমতার ব্যাটারি । যা দিয়ে আপনি টানা ৫-৬ ঘণ্টা গেম খেলা, ৮-৯ ঘণ্টা ব্রাউজিং করতে পারবেন ।
রেটিং : ১০’র মধ্যে ৮ নম্বর দেয়া যায় ।
ভালোদিকঃ
১) S5র মত একটি লুক
২) একি ফ্লাগশিপ সফটওয়্যার
৩) উন্নত ডিসপ্লে
৪) দারুন ক্যামেরা এবং ব্যাটারি
খারাপদিকঃ
১) S5 থেকে কিছুটা স্লো
২) দাম বেশি
0 comments:
Post a Comment