paidvers

PaidVerts
Showing posts with label Islamic. Show all posts
Showing posts with label Islamic. Show all posts

Sunday, April 10, 2016

যে দোয়া এক বার পড়লে ১ হাজার দিন পর্যন্ত নেকী লেখা হয়..



মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অনেক যত্ন করে
 সৃষ্টি
 করেছেন। আল্লাহ তাআলার মত করে আমাদেরকে
 আর
 কেউ ভালোবাসেন না। আর ভালোবাসতে পারেনও
 না।আর আল্লাহ তাআলা তার প্রদর্শিত পথের
 পথিকদের জন্য
 প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্না ত। যার তলদেশ দিয়ে
 সুমিষ্ট নহর প্রবাহিত করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ
 তাআলার
 পরেই আমাদেরকে অত্যধিক ভালোবাসেন আমাদের
 প্রাণপ্রিয় রাসূল (সাঃ)।
 রাসূল (সাঃ)সব সময় চিন্তা করতেন কিভাবে আমরা
 নাযাত পেতে
 পারি, কিভাবে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি
 পেতে পারি। তিনি
 আজীবন আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন কিভাবে
 আমরা
 অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হতে পারি। এরই
 ধারাবাহিকতায় তিনি
 আমাদেরকে শিখিয়ে গিয়েছেন ছোট্ট একটি আমল ।
 যে আমলটি করার ফজিলত অপরিসীম।
 আসুন আজ থেকে আমরা চেষ্টা করি ছোট্ট এই
 আমলটি
 সব সময় করার। আর অর্
 জন করি দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা।
 ছোট্ট একটি দোয়াঃ
 ———————-
 “জাযাআল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা-হুয়া আহলুও।”
 নবী কারীম (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ১ বার এই
 দোয়া পাঠ করবে, ৭০ জন ফেরেশতা এক হাজার দিন
 পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে উহার সাওয়াব লিখতে
 থাকবে।

Tuesday, April 5, 2016

বিপদে পড়লে মহানবী (সা:) যে ৩টি দোয়া পাঠ করতে বলেছেন



আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠাকালে বহু বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। বেশ কয়েকবার কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। অনেক জুলুম, অন্যায়, অত্যাচার পাড়ি দিয়ে তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিপদের সময় মহানবী (সা.) যে ৩টি দোয়া পাঠ করতেন সেই দোয়াগুলো উম্মতদেরও পাঠ করাতে বলেছেন।

 দোয়া ৩টি হলো-
১। সাদ ইবনে আবি ওক্কাস রা. বলেন, নবীজি সা. দুঃখ-কষ্টের সময় বলতেন :

লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন। (দোয়া ইউনূস)

 অর্থ : একমাত্র তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয়ই আমি সীমালঙ্ঘনকারী। (তিরমিজি : ৩৫০০)

২। আসমা বিনতে ওমাইর রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন, আমি কি তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দেব না যা তুমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানির মধ্যে পড়বে। সাহাবী বললেন, অবশ্যই শেখাবেন। নবীজি বললেন,

দোয়াটি হচ্ছে : ‘আল্লাহু আল্লাহ রব্বী লা উশরিকু বিহি শাইয়ান।’

 অর্থ : আল্লাহই আল্লাহ আমার প্রতিপালক। আমি তার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করি না। (আবু দাউদ : ১৫২৫)

৩। আনাস রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন :

আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা জায়ালতাহু সাহলান, ওআনতা তাজআলুল হুযনা সাহলান ইযা শিইতা।

অর্থ: ইয়া আল্লাহ, কোনো বিষয় সহজ নয়। হ্যাঁ, যাকে তুমি সহজ করে দাও। যখন তুমি চাও তখন তুমি মুশকিলকে সহজ করে দাও। (ইবনে হিব্বান : ৯৭৪)


যে কারণে কাবা শরীফের উপর দিয়ে পাখি ও দুনিয়ার কোন বিমান উড়ে যেতে পারেনি!



কাবা শরীফ এমন একটা জায়গা যার উপর
 দিয়ে আজ পর্যন্ত কোন পাখি উড়ে
 যায়নি, দুনিয়া কোন বিমানও তার উপর
 দিয়ে যেতে পারেনি। কুদরতী দৃষ্টিকোণ
 থেকেও তার অবস্থান এমনই যে, তার উপর
 চন্দ্র ও সূর্যও অবস্থান করতে পারে না।
 কুরআন এবং বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে
 যে,গোটা পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু ঐ স্থান
 যেখানে খানায়ে কা’বা শরীফ ।মহান
 আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এ এক
 বিষ্ময়কর সৃষ্টি। মুসলমানদের কেবলা
 কাবা শরীফ।
 প্রতিবছর লাখ লাখ মুসলমান কাবাঘর
 তাওয়াফ করতে মক্কা গমন করেন।
 পৃথিবীতে সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ
 তায়ালার নির্দেশে ফেরেশতারা
 কাবাঘর নির্মাণ করেন। কাবাঘরকে
 উল্লেখ করে মহান আল্লাহ তায়ালা
 পবিত্র কোরআনের সুরা আল-ইমরানের
 ৯৬ আয়াতে বলেন, “নিশ্চই সর্বপ্রথম ঘর
 যা মানুষের ইবাদত রূপে নিরূপিত হয়েছে,
 তা ঐ ঘর যা মক্কাতে অবস্থিত”।
 কাবাঘরটি আল্লাহ তায়ালার আরশে
 মুয়ালস্নাহর ছায়াতলে সোজাসুজি
 বাইতুল মামুরের আকৃতি অনুসারে স্থাপন
 করেন। হযরত আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.)
 উভয়ই আল্লাহ তায়ালার কাছে ইবাদতের
 জন্য একটি মসজিদের পার্থনা করেন।
 আল্লাহ তায়ালা তাদের দোয়া কবুল
 করেন এবং বাইতুল মামুরের আকৃতিতে
 পবিত্র কাবাঘর স্থাপন করেন। এখানে
 হযরত আদম (আঃ) সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহ
 তায়ালার ইবাদত করতে থাকেন
 (শোয়াব-উল-ঈমান, হাদিসগ্রন্থ) এর
 অনেক তফসিরবিদের মতে, মানব সৃষ্টির
 বহু আগে মহান আল্লাহ তায়ালা কাবাঘর
 সৃষ্টি করেন”।
 হফসিরবিদ মজাহিদ কলেন, “আল্লাহ
 রাব্বুল আলামিন বাইতুলল্লাহর স্থানকে
 সমগ্র ভুপৃষ্ঠ থেকে দু’হাজার বছর আগে
 সৃষ্টি করেন” মুসলিম শরিফের একটি
 হাদিসে হযরত আবুযর গিফারী হতে
 বর্ণনা হয়েছে, রাসূল (সঃ) তার একটি
 প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, “বিশ্বের
 সর্বপ্রথম মসজিদ হলো মসজিদে হারাম।
 এরপরের মসজিদ হলো মসজিদে আকসা।
 মসজিদে হারাম নির্মাণে ৪০ বছর পর
 মসজিদে আকসা নির্মিত হয়”।
 হযরত আদম (আঃ) কাবাঘর আল্লাহর
 আদেশে পুনঃনির্মাণ করেন। এরপর
 বহুদিন অতিক্রম হলো। শত শত বছর
 অতিবাহিত হলো। আল্লাহর বান্দারা
 কাবাঘর জিয়ারত করতো, আল্লাহর
 কাছে হাজিরা দিতো এ কাবাঘরে
 সমবেত হয়ে। কাবাঘরে এসে মহান
 আল্লাহর পবিত্রতা ও অংশীদারহীনতা
 ঘোষণা দিত। “লাব্বাইক আলস্নাহুম্মা
 লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান
 নেয়ামাতা, লাকাওয়ালা মুলক,
 লাশারিকা, লাকা লাব্বাইক”।
 এভাবে চলতে চলতে দিন গত হতে
 থাকলো। এরপর হযরত শীস (আঃ)
 কাবাঘর পুনঃনির্মাণ করলেন। দিন দিন
 একাতুবাদের সংখ্যা বাড়তে থাকলো।
 এরপর কাবা শরীফ নির্মাণ বা
 পুনঃনির্মাণ করেন হযরত ইব্রাহীম (আ;)।
 হযরত ইব্রাহীম (আ•) হযরত ইসমাইল (আ•)
 কে সাথে নিয়ে কাবাঘর নির্মাণ বা
 পুননির্মাণ করেন। হযরত ইব্রাহীম (আ•)
 কাবাঘর সংস্কার করে আল্লাহর
 দরবারে দোয়া করলেন। ‘হে আমার
 প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে আজ্ঞাবহ
 কর,। আমাদের বংশ থেকে একটি অনুগত
 দল সৃষ্টি কর, আমাদের হজ্বের
 রীতিনীতি বলে দাও এবং আমাদের
 ক্ষমা কর। নিশ্চই তুমি দয়ালু। হে
 প্রতিপালক! তাদের মধ্যে থেকেই
 তাদের কাছে একজন পয়গম্বর প্রেরণ
 করম্নন।
 যিনি তাদের কাছে তোমাদের আয়াত
 তেলাওয়াত করবেন। তাদেরকে কিতাব ও
 হেকমত শিক্ষা দিবেন এবং পবিত্র
 করবেন। নিশ্চই তুমি মহাপরাক্রমশালী”।
 আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত হযরত ইব্রাহীম
 (আঃ) ও হযরত ইসমাইল (আঃ)-এর বংশ
 হতে হযরত মোহাম্মদ (সঃ)-কে শেষ নবী
 ও রাসূল হিসাবে পৃথিবীতে প্রেরণ
 করেন। এরপর কয়েকশ’ বছর গত হলো।
 পবিত্র কাবাঘর সংস্কার করলো
 আমালিকা সম্প্রদায়। তারপর আরো শ’
 শ’ বছর কিংবা হাজার হাজার বছর পরে
 কাবাঘর সংস্কার করলো মক্কার
 জুরহাস সম্প্রদায়। আরবের অর্থাৎ
 মক্কায় যে সকল গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের
 প্রতিপত্তি ছিল, তাদের দায়িত্ব
 থাকতো কাবা শরীফ রক্ষণাবেক্ষণের।
 এ দায়িত্ব পালনকে তারা সম্মানিত ও
 গর্বের মনে করতো। শতাব্দীর পর
 শতাব্দী অতিবাহিত হলো। কাবা শরীফ
 ও কাবাঘরকে সংস্কার করলেন মোযার
 সম্প্রদায়। মহানবী হযরত মোহাম্মদ
 (সাঃ) নবুয়্যত প্রাপ্তির ৫ বছর আগে
 কাবাঘর সংস্কার করে মক্কার বিখ্যাত
 কোরাইশ বংশ।
 এ কোরাইশ বংশেই মহানবী হযরত
 মোহাম্মদ (সাঃ) ৫৭০ খ্রীঃ • জন্মগ্রহণ
 করেন। কোরাইশরা কাবা শরীফ
 সংস্কারের পর হাযরে আসওয়াত স্থাপন
 নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়। সকলের
 সম্মতিক্রমে আল্লাহর রাসূল কাবাগৃহে
 হাযরে আসওয়াদ কাবা শরীফে স্থাপন
 করেন। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)
 জীবিত অবস্থায় ৬৪ হিজরীতে
 আব্দুল্লাহ ইবনে জোবায়ের (রাঃ)
 কাবা শরীফ সংস্কার করেন। হাজ্জাজ
 বিন ইউসুফ ৭৪ হিজরীতে কাবা শরীফ
 সংস্কার করেন।সুদীর্ঘ ১৪শ’ বছরে
 কাবাগৃহে কোনো সংস্কারের
 প্রয়োজন হয়নি।
 শুধুমাত্র কাবাঘরের চারপাশে অবস্থিত
 মসজিদে হারামের পরিবর্ধন, সংস্কার
 বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।
 কাবাঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব
 সৌদি রাজপরিবারের। ভৌগলিক দিক
 দিয়ে মক্কা ও আরব উপদ্বীপ এশিয়া,
 ইউরোপ ও আফ্রিকার মধ্যস্থলে
 অবস্থিত। মক্কানগরী পৃথিবীর
 কেন্দ্রস্থলে হওয়ায় মহান আল্লাহ
 কাবাঘর মক্কাতেই স্থাপন করেন। পবিত্র
 হজ্ব পালন করতে লাখ লাখ মুসলমান
 মক্কা শরীফে গমন করেন।
 জিলহজ্ব মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের
 মধ্যে মূল হজ্ব অনুষ্ঠিত হয়। জিলহজ্ব
 মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আযহার দিন। এ
 দিন কোরবানী দিতে হয়। যা হযরত
 ইব্রাহীম (আঃ)-এর ও হযরত ইসমাইল
 (আঃ)-এর স্মৃতি বহন করে চলছে হাজার
 হাজার বছর ধরে। যমযম কূপ ও ঠিক তেমনি
 হযরত ইসমাইল (আঃ) ও তার মা বিবি
 হাজেরা (আঃ)-এর স্মৃতি বহন করে চলছে।
 এ যমযম কূপ মহান আল্লাহর কুদরতের
 অপরূপ ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। হজ্ব
 মুসলমানদের ঈমানের অন্যতম স্তম্ভ।
 আরবের মক্কা নগরীর পবিত্র কাবাঘর
 হেফাজতের মালিক মহান আল্লাহ
 নিজে।